Commercial News Portal

মালয়েশিয়ায় বাড়ছে পাম অয়েল উৎপাদন

0

করোনা মহামারীর পর থেকেই তীব্র শ্রমিক সংকটে ভুগছিল মালয়েশিয়া। বর্তমানে এ সংকট শিথিল। এতে দেশটিতে দেখা দিয়েছে পাম অয়েলের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা। বছরের শেষার্ধে পাম ফলের বাম্পার ফলন প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

আইওআই কর্প প্লান্টেশনের পরিচালক সাধুকরন নোট্টাহ ভাস্কারান বলেন, ‘‌বাগানগুলোয় শ্রমিক ফিরতে শুরু করায় ফল সংগ্রহের হার বেড়েছে। ভালো মানের তেল নিষ্কাশন অপরিশোধিত পাম অয়েলের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। দুই বছর ধরে ভালো বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাম ফলের গঠনও ভালো হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌পাম অয়েল উৎপাদন এখন থেকেই বাড়ছে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। এ বছর বেশ ভালো উৎপাদনের প্রত্যাশা করছি আমরা।

মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। বৈশ্বিক উৎপাদনের ২০ শতাংশই আসে দেশটি থেকে। খাদ্য থেকে শুরু করে কসমেটিকস সব ধরনের পণ্যই হয় এটি থেকে। করোনার আগে দেশটির বেশির ভাগ পাম বাগানই ছিল বিদেশী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে শ্রমিক সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। সে সংকট থেকে এখনো উতরে উঠতে পারেনি দেশটি।

এদিকে উৎপাদন নিয়ে প্রত্যাশা পণ্যটির দামের ওপর থেকে ঊর্ধ্বমুখী চাপ কমাচ্ছে। গত বছর রেকর্ড সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হলেও এ বছর তা কমে ৩০ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে।

উপদ্বিপীয় মালয়েশিয়া ও সাবাহ অঞ্চল থেকে দেশটির ৮০ শতাংশ পাম অয়েল আসে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসব অঞ্চল থেকে সরবরাহ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বাড়বে। এরই মধ্যে উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে। মে মাসে উৎপাদন আগের মাসের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

শ্রমিক ফেরার এ খবর বাগান মালিকদের জন্য আশীর্বাদ। কারণ এ সংকটে গত বছর তাদের প্রায় ২ হাজার কোটি রিঙ্গিত লোকসান গুনতে হয়েছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.